কচু শাকের উপকারীতা ও গুনাগুন

কচু শাকের উপকারীতা ও গুনাগুন


গ্রাম অঞ্চলের প্রায় লোক-জনের কাছে এই কচু শাক খুব জনপ্রিয়। সাধারণত গাম অঞ্চলে উঠান,পতিত জমি ও, আইলে কচু জন্মে থাকে। অবহেলায় কচু বেড়ে ওঠে, আমরা অনেকে জানি না এই কচুতে ইনেক ভিটামিন ও পুস্টিগুন রয়েছে।কচু পাতা ভর্তা,তরকারী সহ বিভিন্ন ভাবে কচু খাওয়া হয়।কচুর মুখী,পানিকচু,ওলকচু ইত্যাদি এগুলা সাধারণত খাওয়া হয়।কচুতে প্রচুর পরিমান পুস্টি রয়েছে।এছাড়াও কচুতে ফ্যাট, কার্বোহাইডেট,প্রোটিন ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে। দুই ধরনের কচু আমরা খেয়ে থাকি,এগুলো হলো সবুজ কচু ও কালো কচু।

প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে বিদ্যামান পুস্টি উপাদান নিচে দেয়া হলোঃ

  • খাদ্যশক্তি—- ৫৬ কিলোক্যালরি।
  • ক্যালসিয়াম—-২২৭ মিলিগ্রাম।
  • চর্বি—-১.৫ গ্রাম।
  • ভিটামিন -সি—– ১২ মিলিগ্রাম।
  • ভিটামিন বি-২——০.২৬ মিলিগ্রাম।
  • ভিটামিন বি-১—–০.২২ মিলিগ্রাম।
  • লৌহ——১০ মিলিগ্রাম।
  • প্রোটিন —–৩.৯ গ্রাম।
  • শর্করা——৬.৮ গ্রাম।

কচু শাক এর উপকারিতা গুলো জেনে নিনঃ

  • কচুর লতিতে চিনির পরিমান কম থাকায় ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা খেতে পারেন।
  • যাদের এসিডিটি বা গ্যাস্টিক রয়েছে তাদের জন্য কচু অনেক উপকারী। তারা কচু খেতে পারেন।
  • কচুতে সাধারণত আয়োডিন এর পরিমান অনেক বেশি থাকে।
  • চুলের ভঙ্গুরতা বন্ধতে কচুর ভুমিকা অনেক বেশি।
  •  কচুতে আয়রন ও ক্যালসিয়াম এর পরিমান থাকে অনেক বেশি। তাই কচু খেতে পারেন।
  • আশ জাতীয় হওয়াতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কচু অনেক ভুমিকা রাখে।
  • কচুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ, যা রাতকানা রোগে ভুমিকা পালন করে।

এবার জেনে নেয়া যাক, কচুর গুনাগুন গুলোঃ

  • জ্বর কমাতেঃ

কারো জ্বর হলে দুধ ও কচু রান্না করে খেলে ভালো প্রতিকার পাওয়া যায়। তাই যাদের জ্বর হয় তারা এটা খেয়ে দেখতে পারেন,উপকারে আসবে।

  • গর্ভবতী নারীঃ

কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও পুস্টিগুন। যা গর্ভবতী দের জন্য অনেক উপকারী। কচুশাক সহজে দারিদ্র্য গর্ভবতী মেয়েদের ভিটামিন ও খনিজ পুস্টিউপাদান পুরন করে থাকে।

  • উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃ

কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমান স্যাপোনিনস,কার্বোহাইডেট, যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়।নিয়মিত এই কচু খেলে হৃদরোগ এর ঝুকি কমায়।

  • দাত ও হাড়ের গঠনঃ

কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমান ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। যা আমাদের দাত ও হাড়ে গঠনে প্রচুর ভুমিকা পালন করে। তাই কচুশাক খাওয়া উচিৎ আমাদের।

  • ক্যান্সার প্রতিরোধঃ

কচুরশাকে অনেক খনিজ উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।

  • মুখ ও ত্বকের রোগঃ

ভিটামিন-এ এর পাশাপাশি কচুর শাকে রয়েছে ভিটামিন-বি যা ত্বক ও মুখের জন্য অনেক বেশি কার্যকারী।

  • কোষ্ঠকাঠিন্যঃ

কচুরশাকে রয়েছে আশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।যাদের এই কোষ্ঠকাঠিন্য তারা কচুর শাক খেতে পারেন।
 রাতকানা রোগঃ
কচুতে রয়েছে ভিটামিন-এ, যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধে প্রচুর ভুমিকা পালন করে।এবং কচুর শাক খেলে দৃস্টিশক্তি বাড়াতে প্রচুর সাহায্য করে।

  •  হিমোগ্লোবিনঃ

কচুর শাকে রয়েছে আয়রন, যা হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আমাদের কচুরশাক খেতে হবে।

আমাদের সমাজ / এসএ


নিউজ প্রিন্ট করুন

0/একটি মন্তব্য / মন্তব্য পোস্ট করুন

Thank You For your feedback